কিডনি পাথর (Renal calculi) ও চিকিৎসা

কিডনি পাথর এর জন্য হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহন করুন …সুস্থ থাকুন

ফেইসবুক পেইজ- Dr. Kazy Habib , https://www.facebook.com/Dr-Kazy-Habib-105052511208788

ফেইসবুক মেসেন্জার - Dr-Kazy Habib , https://www.facebook.com/DrKazyHabib

যোগাযোগ :০১৭৩৮৬১৮৮৯৪

কিডনি পাথর কি ?

কিডনিতে পাথর একটি শক্ত, খনিজ উপাদান এর স্ফটিক যা কিডনি বা মূত্রনালীতে তৈরি হয় । কিডনিতে পাথর রক্ত প্রস্রাবের (hematuria) একটি সাধারণ কারণ এবং প্রায়শই তলপেট, ফাঁপা বা কুঁচকিতে তীব্র ব্যথা হয় । কিডনিতে ক্যালকুলাই (Renal calculi) বলা হয় ।

কিভাকে কিডনী তে পাথর তৈরি হয়?

প্রস্রাবের মধ্যে এমন সমস্ত উপাদান রয়েছে যা পাথর তৈরি করে, তবে এগুলি আমাদের অজান্তেই যায় । যখন এই ধরণের কোন পদার্থের ভারসাম্যহীনতা থাকে তখন স্ফটিকগুলি একসাথে পাথরে পরিণত হয় ।

কিডনি পাথর চিকিৎসায় উন্নত হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার ভূমিকা

দ্রুত এবং সহজ উপায়ে কিডনিতে পাথর চিকিৎসার জন্য সর্বোত্তম সম্ভাব্য বিকল্প হ'ল উন্নত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা । এই চিকিৎসার মাধ্যমে, কেউ অস্ত্রোপচারের সাথে জড়িত ঝুঁকিগুলি এড়াতে পারে। কিডনিতে পাথরের স্থায়ী সমাধান নয় সার্জারি। যেহেতু কিছু মানুষের কিডনিতে পাথর গঠনের প্রবণতা রয়েছে; তাদের অস্ত্রোপচারের পরেও পাথর ফিরে আসে । হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায সাধারণ কিডনি পাথর আরোগ্য হয়ে যায় । তবে কিছু ক্ষেত্রে সার্জারির প্রয়োজন পড়ে ।

১. প্রথমে, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায ব্যাথা দূরীভুত হয় ।

২. পরবর্তীতে, হোমিওপ্যাথিক প্রতিকার সহ পাথরগুলি দ্রবীভূত হয়ে যায় এবং আরও পাথর গঠনের এবং কিডনিতে ক্ষয় ক্ষতির রোধ হয় ।

৩. আরোগ্য শেষে, আরও পাথর গঠনের প্রবণতা দূর হয় ।

কিডনী পাথুরীর লক্ষণ ও ইঙ্গিত সমূহঃ

কিডনিতে পাথর যতক্ষণ না এটি আপনার কিডনিতে নড়তে থাকে করে বা আপনার Ureter –(কিডনি এবং মূত্রাশয়ের সাথে সংযুক্ত নল) এর মধ্যে প্রবেশ না করা তত্ক্ষণ অবধি লক্ষণ সৃষ্টি নাও হতে পারে ।

এই মুহূর্তে, লক্ষণগুলি হলো:

• ব্যথা ঢেউ এর মতো আসে এবং তীব্রতায় ওঠানামা করে। ব্যথা তলপেট এবং কুঁচকিতে ছড়িয়ে পড়ে ।

• পাঁজরের নীচে, পাশে এবং পিছনে তীব্র ব্যথা । এই ব্যথা হাঁটা গতি এবং দোলায় আরও বেশি হয় । এটি চলাচলে বিশেষত সিঁড়িতে আরোহণের চেয়ে বেশি হতে পারে।

• এটি পাথরের একটি বিশেষ ব্যথা যা কোমর থেকে কুঁচকি পর্যন্ত শুরু হয় । এটি অণ্ডকোষ, ভালভ এবং উরুর মধ্যম দিক পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে।

• রক্তাক্ত প্রস্রাব (হ্যাম্যাটুরিয়া) - ঘটনাচক্রে এটি অন্যতম প্রধান লক্ষণ

• রেফার্ড/ছড়ানো ব্যথা — এটি খুব কমই পাওয়া যায় এবং ব্যথা পুরো পেটে বা বিপরীত কিডনিতে দেখা যায়।

• কিডনীতে পানি জমা (Hydronephrosis) — কখনও কখনও রোগীদের পেটে পিণ্ড এবং ব্যথার অভিযোগ পাওয়া যায়, যা মূলত হাইড্রোনফ্রোসিসের কারণে হয়।

• ঘোলাটে বা জঘন্য গন্ধযুক্ত মূত্র

• মূত্র পথে ইনফেকশন (Urinary tract infection) - ঠান্ডা লাগা এবং তার সাথে জ্বর, প্রস্রাবের সাথে পুজ , জবালাকর প্রস্রাব ও ক্রমবর্ধমান পঘন ঘন প্রস্রাব দেখা দিতে পারে। গুরুতর ক্ষেত্রে, সেপটিসেমিয়া দ্রুত বিকাশ করতে পারে।

• প্রস্রাবের পূর্বে, পরে ও প্রস্রাবের সময় ব্যথা

• গোলাপী, লাল বা বাদামী প্রস্রাব

• বমি বমি ভাব এবং বমি

• অবিরাম প্রস্রাব; অল্প প্রস্রাব করা, ফোটায ফোটায় প্রস্রাব

• স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বার প্রস্রাব করা

• রেনাল এঙ্গেল (Renal angle) এ ব্যাথা ও পেশির অনমনীয়তা পরবর্তীকালে উপস্থিত থাকে এই কোণটি ১২তম পাঁজর এবং ইরেক্টর স্পাইনি পেশীর মধ্যে অবস্থিত।

• পেশির অনমনীয়তা কিডনি অঞ্চলে এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাওয়া যেতে পারে।

• শোথ (Dropsy / Oedema) - হাইড্রোনফ্রোসিস বা পাইোনফ্রোসিস থাকলে এটি দেখা যায় ।

• কিডনিতে পাথরজনিত ব্যথা পরিবর্তিত হতে পারে - উদাহরণস্বরূপ, কোনও পৃথক স্থানে স্থানান্তরিত হওয়া বা তীব্রতায় বৃদ্ধি হওয়া - পাথরটি আপনার মূত্রনালীতে প্রবেশ করে।

কিডনি পাথর এর সাথে সম্পর্কিত বিষয় সমূহ

• পারিবারিক ও ব্যক্তিগত ইতিহাস

• পানিসল্পতা

• নির্দিষ্টি কিছু খাবার- উচ্চ্ আমিষ যুক্ত খাবার , লবণ ( সোডিয়াম ) ইত্যাদি ।

• স্থূলথা (Being obese)

• পরিপাকতন্ত্রের রোগ ও এর সার্জারি

• অন্যান্য মেডিকেল অবস্থা - Renal tubular acidosis, cystinuria, hyper-parathyroidism, নির্দিষ্ট কিছু ঔষধ এবং কিছু urinary tract infections

চিকিৎসা

যদিও কিডনিতে পাথর প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচারের কেস হিসাবে বিবেচনা করা হয়, তবে প্রাকৃতিক কিডনিতে পাথর ভেঙে এবং দ্রবীভূত করতে পারে বা অস্ত্রোপচারের হস্তক্ষেপ ছাড়াই এগুলি বের করে দিতে সহায়তা করে। ওষুধগুলি কিডনিতে পাথর গঠনের প্রবণতার চিকিৎসার জন্য প্রাকৃতিক ওষুধগুলি সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ফলাফল দেখিয়েছে ।

তবে কিডনী তে পাথর বেশি বড় হয়ে গেলে , রোগীর শারীরিক অবস্থা অধিক অবনতি হলে, সার্জারীর মাধ্যমে পাথুরী বের করে ফেলা উত্তম । এ ক্ষেত্রে কাল ক্ষেপণ করা অনুচিত ।

সার্জারির উপায় সমূহ:

• Using sound waves to break up stones

• Surgery to remove very large stones in the kidney

• Using a scope (ureteroscope) to remove stones

• Parathyroid gland surgery

কিডনি পাথর চিকিৎসায় কিছু হোমিওপ্যাথিক ঔষধ

Berberis vulgaris, Lycopodium clavatum, Hydrangea arborescens, Cantahris vesicatoria, Sarsaparilla officinalis, Ocimum can, Tabacum, Pareira brava etc.

তথ্যসূত্রঃ

• Drhomeo.com

• Myoclonic.com and others

Dr Kazy Habib

BHMS, MPH

Kazy Homoeopathic Treatment & Private Research Center